গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর এলাকায় শুক্রবার সকালে ওর্য়াল্ড এসেম্বল্রি অফ মুসলিম ইয়ুথ ওয়ামী বাংলাদেশ এর নব নির্মিত ওয়ামী কমপ্লেক্সে শুভ উদ্বোধন করলেন সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ আল দুহাইলান ।
প্রথমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয় ।এসময় একটি হাসপাতাল ও স্কুল কলেজ ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয় ।
এসময় প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের ভূমি এবং বেসরকারী বিমান, পরিবহন ও র্পযটন মন্ত্রনালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ ।
প্রধান অতিথি মাননীয় ভূমি উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ তাঁর বক্তব্যে অন্যতম মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকান্ডে ভ্রাতৃপ্রতিম সৌদি আরবের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা উল্লেখ করেন।
এজন্য তিনি উপস্থিত সৌদি রাষ্ট্রদূতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি সফররত ওয়ামি প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশ সফরে আসার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠির কল্যাণে যথাসম্ভব জোরালো ভূমিকা পালনের আহবান জানান।
সৌদি রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উন্নয়নে সৌদি আরব সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে।তিনি আরো বলেন বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে রাজকীয় সৌ সরকারের পাশাপাশি ওয়ামী পূর্বের চেয়েও আরো বেশি ভূমিকা পালনের চেষ্টা করবে ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন, কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা কাউছার আহাম্মেদ, কালিয়াকৈর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি দিল আফরোজ,
মেজর জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত সালাহউদ্দিন মিয়াজি, কাজী মোহাম্মদ শাহেদ, প্রফেসর আমিনুর রহমান মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রফেসর তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ,
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, এয়ার কমোডর অবসরপ্রাপ্ত মোহাম্মদ শওকত আলী, গণ্যমান্য অতিথিবৃন্দ ও স্থানীয় বিশিষ্টজন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে, ওয়ার্ল্ড এসেম্বলি অব মুসলিম ইয়থ (ওয়ামী) সৌদি আরব ভিত্তিক একটি আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা যা বিগত ৫২ বছর যাবৎ বিশ্বের প্রায় সবকয়টি দেশে শিক্ষা, সংস্কৃতি, প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দূর্যোগে জরুরী ত্রাণ তৎপরতা, নারীর ক্ষমতায়নসহ নানাবিধ আর্থ-সামাজিক ও যুব
উন্নয়নমূলক কর্মসূচী পরিচালনা করে আসছে। এর প্রধান কার্যালয় সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অবস্থিত।
১৯৭২ সালে রিয়াদে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক যুব সম্মেলনে গৃহিত প্রস্তাবনার আলোকে সৌদি আরবের তৎকালীন মহামান্য বাদশাহ কিং ফয়সাল এর রাজকীয় ফরমানে ওয়ার্ল্ড এসেম্বলি অব মুসলিম ইয়ুথ (ওয়ামী) প্রতিষ্ঠিত হয়।
ওয়ামী জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গ সংস্থাসহ নানা আন্তর্জাতিক ফোরামের সক্রিয় সদস্য হিসেবে বিশ্বব্যাপী ভূমিকা রেখে আসছে।
২০০০ সাল থেকে ওয়ামী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর নিবন্ধিত সংস্থা হিসেবে দেশের বিভিন্ন জেলাসমূহে ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
কক্সবাজারের উখিয়ায় অবস্থানরত মায়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির সহায়তার জন্য ইউএনএইচসিআরসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার মানবিক কার্যক্রমে সক্রিয় সহযোগি হিসেবে ওয়ামি ভূমিকা পালন করছে।
১৯৮১ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও ওয়ার্ল্ড এসেম্বলি অব মুসলিম ইয়ুথ (ওয়ামী), সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে বিশ্বের প্রায় অর্ধশত দেশের যুব প্রতিনিধিদের নিয়ে আন্তর্জাতিক যুব কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তৎকালীন মহামান্য রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যুব উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার শফিপুরে এ জমিটুকু ওয়ামিকে প্রদানের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।
সেখানেই ৭ একর জমির উপর ওয়ামি ভবনের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুক্রবার সকালে শুরু হয়।