গাজীপুর

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বের স্বাধীনতা- মাহবুবউল আলম হানিফ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৭ মার্চের ভাষণ সারা বিশ্বের স্বাধীনতা ও মুক্তিকামী মানুষের চিরন্তন অনুপ্রেরণা। ১০ মার্চ (বৃহস্পতিবার) বিকালে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন- ২০২২ উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তবো একথা বলেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড: মুনাজ আহমেদ নূর; এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক ও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় রশিদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড: হারুন-অর প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতির ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মূল অনুপ্রেরণা বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রদত্ত ৭ ই মার্চের এই ঐতিহাসিক ভাষণটি। যেখানে তিনি বজ্রকণ্ঠে উচ্চারণ করেছেন- ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ একইভাবে এই অমর ৰাণী ও ভাষণ পৃথিবীর সব নিপীড়িত ও শোষিত- বঞ্চিত মানুষকে মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্দীপিত করে। তাই বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের দুনিয়া কাঁপানো ঐতিহাসিক এই ভাষণ বিশ্বের স্বাধীনতা ও মুক্তিকামী মানুষের চিরন্তন অনুপ্রেরণা।

মুখ্য আলোচক ও বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড: হারুন-অর রশিদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল একজন দক্ষ কৌশলীর সুনিপুণ বক্তব্য। ভাষণের শেষ পর্যায়ে তিনি (বঙ্গবন্ধু)’ স্বাধীনতার কথা এমনভাবে উচ্চারণ করেন, যাতে ঘোষণার কিছু বাকিও থাকল না, আবার তাঁর বিরুদ্ধে একতরফা স্বাধীনতা ঘোষণার অভিযোগ উত্থাপন করাও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর জন্য সম্ভব ছিল না। বস্তুত বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণ ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতারই CHITRINITI তবে সরাসরি তা ঘোষণা না করে তিনি কৌশলের আশ্রয় গ্রহণ করেন। তাঁর অবস্থান ছিল: সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালি সংখ্যালঘিষ্ঠ পশ্চিম পাকিস্তানি থেকে বিচ্ছিন্ন হবে কেন? বরং সংখ্যালঘিষ্ঠরাই বিভিন্ন হোক।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড: মুনাজ আহমেদ নূর বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে মুক্তিকামী বাঙালি জাতিকে মুক্তির বাণী শুনিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ৭ মার্চের সেই ভাষণেরই সফল পরিণতি স্বাধীন বাংলাদেশ। ৫০ বছরেও ১৮ মিনিটের সেই ভাষণের আবেদন এতটুকু কমেনি বরং বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক এ ভাষণ ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কোর বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো: আশরাফ উদ্দিন, সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট মুহাম্মদ শাহীনূল কবীর, শিক্ষা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো: আশরাফুজ্জামান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) ফারজানা আক্তার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সামছুদ্দীন আহমেদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Author


Discover more from MIssion 90 News

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এছাড়াও পরীক্ষা করুন
Close
Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker