ফরিদপুরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এর অংশ হিসেবে আনন্দ শোভাযাত্রা, শপথ বাক্য পাঠ, দোয়া ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করে ছাত্র-জনতা।
আজ বুধবার সকাল ১০ টায় ফরিদপুর শহরের ভাঙ্গা রাস্তার মোড় থেকে আনন্দ শোভাযাত্রার শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজে গিয়ে শেষ হয়।
এরপর সেখানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। যাতে বক্তব্য রাখেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক আবরার নাঈম ইতু, জনি বিশ্বাস, মোহাম্মদ আরাফাত, বিজয়, মারুফা মিম, আলিফ বিন সাদিক প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের পর আবারও স্বাধীন হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ দেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। আর তাই এই অর্জিত স্বাধীনতা কোনোভাবেই নষ্ট হতে দেয়া যাবে না। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
বক্তারা বলেন, এ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ওই সময় তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আমাদের উপর অত্যাচার করেছে, নেতাকর্মীদের আহত করেছে একের পর এক মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে। আমাদের প্রায় ৫৭ জন আন্দোলনকারী কে কারাগারে যেতে হয়েছে। কিন্তু আমরা বিচলিত হইনি আমরা যে ফলাফল পেয়েছি তা নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। বিশ্ব আজ বাংলাদেশকে মূল্যায়ন করতে শিখেছে নতুনভাবে।
বক্তারা আরো বলেন, গত ১৬ জুলাই এই কলেজে হতেই আন্দোলনে সূচনা করা হয়েছিল। এতে আমাদের অসংখ্য ভাই বোন অংশগ্রহণ করেছিল। তারা তখন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছিল, আহত হয়েছিল। এসময় বক্তারা রাজেন্দ্র কলেজের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য উক্ত কলেজটিকে রাজনীতি মুক্ত ঘোষণা করেন।
তারা বলেন, এখন থেকে কোন ছাত্র সংগঠন এই কলেজে আর রাজনীতি করতে পারবে না। কলেজ ক্যাম্পাসকে নিরাপদ রাখতে হবে যাতে আর কোনো অশুভ শক্তি দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে। রাষ্ট্রের ক্ষতি হয় এমন কোন কর্মকাণ্ড করা হবে না বলেও জানানো হয়। এছাড়া চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তারা।
অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় পর্বে শপথ বাক্য পাঠ করেন অ্যাডভোকেট মেহেরুন নিসা স্বপ্না। অনুষ্ঠানের শেষাংশে উক্ত আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন মুফতি তানভীর আহমেদ।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts sent to your email.