লেখাপড়ার পাশাপাশি বাদ্যযন্ত্র বিক্রেতা মৃদুল
সঙ্গীতপোযোগী শব্দ সৃষ্টিকারী যন্ত্র যা বাদ্যযন্ত্র নামে অভিহিত। এগুলি কণ্ঠসঙ্গীত ও যন্ত্রসঙ্গীতে ব্যবহূত হয়। প্রধানত ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে ব্যবহূত হয়। হিন্দুদের পূজা-পার্বণে ঢোল-কাঁসর-শঙ্খধ্বনি অত্যাবশ্যক। অতীতে বঙ্গদেশে যেসব বাদ্যযন্ত্র ব্যবহূত হতো সেসবের অনেকগুলিই বর্তমানে বিলুপ্ত বা অব্যবহূত; আবার বর্তমানে অনেক নতুন যন্ত্রেরও আবির্ভাব ঘটেছে। বাদ্যযন্ত্রকে কেন্দ্র করে বাংলার লোকসমাজে নানা আচার-সংস্কারও প্রচলিত আছে। শঙ্খ ও সানাই মাঙ্গলিক বাদ্যযন্ত্র হিসেবে গণ্য হয়; আবার রাতে বাঁশি বাজানো অমঙ্গলজনক বলে সাধারণ লোকের মধ্যে একটি সংস্কারও প্রচলিত আছে।
এ বাদ্যযন্ত্র বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন দোহার উপজেলার এক তরুণ। তার নাম মৃদুল ফকির। পূর্ণিমা মিউজিক্যাল সেন্টার-2 নামে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। তার প্রতিষ্ঠানের রয়েছে হারমোনিয়াম, গিটার, এক্স গিটার, রগ গিটার, টিবিএম, ডিভাইডার, এক্স, বেহালা, দোতারা, বাশের বাঁশি, মন্দিরা, জিপসি, খাওয়া, ধমক, ঢোল ও একতারা।
শুধু তাই নয় তিনি হারমোনিয়াম সহ অঞ্চল অন্যান্য সংগীত যন্ত্রাংশ মেরামত এবং নতুন হারমোনিয়াম নিজ হাতে বানিয়ে থাকে। প্রতিদিন বেচাকেনা তেমন একটা হয় না তবে বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপলক্ষে কিছুটা বেড়ে যায়। তার দুটি প্রতিষ্ঠান একটি দোহারের করিমগঞ্জ গ্রামে এবং আরেকটি নবাবগঞ্জ উপজেলায় রয়েছে। তিনি লেখাপড়ার পাশাপাশি এ ব্যবসা নিয়োজিত আছেন।
তিনি জানান, গান গাইতে না পারলে গানকে ভালোবাসেন। সে মনমানসিকতা থেকেই এ ব্যবসা শুরু করেছেন। তার এ ব্যবসা চলছে প্রায় দেড় বছর যাবত।