বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেছেন, দীর্ঘ সাড়ে পনর বছর ধরে বিএনপির আন্দোলন দমন করতে গিয়ে হাসিনা সরকার হত্যা ও নৈরাজ্যের পথ বেছে নিয়েছিল। আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীদের নামিয়ে দিয়ে সমগ্র দেশকে রণক্ষেত্রে পরিণত করেছিল। কিন্তু ছাত্র জনতার দুর্বার প্রতিরোধের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালাতে বাধ্য হয়েছে। আওয়ামী লীগের দাম্ভিকতা, দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণেই তাদের পতন হয়েছে। আজকে আওয়ামীলীগ জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ গণ ধিকৃত দলে পরিণত হয়েছে। তাই আমাদেরকে জনগণের মন জয় করে চলতে হবে। স্বৈরাচারী হাসিনার পতনে প্রথমিক বিজয় অর্জন হলেও পরিপূর্ণ বিজয়ের জন্য নির্বাচনে জনগণের সমর্থনে সফল হতে হবে।
তিনি সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বাদে আসর কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন জামে মসজিদে বিগত ১৫ বছরে আন্দোলন সংগ্রামে নিহত ও সাম্প্রতিক বন্যায় নিহতদের রুহের মাগফিরাত এবং আহতদের সুস্থতা কামনায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন।
দোয়া মাহফিলে বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘায়ু, শারীরিক সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পাশাপাশি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোসহ বিগত ১৫ বছরে আন্দোলন সংগ্রামে ও সাম্প্রতিক বন্যায় মৃত্যুবরণকারীদের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও অসুস্থ নেতাকর্মীদের রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা এহসানুল হক।
এতে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান।
এ সময় এরশাদ উল্লাহ বলেন, বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত দেশে গণতন্ত্র এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে দেশ এবং জনগণের স্বার্থ সমুন্নত রেখেছে। এ কারণেই শত প্রতিকূল পরিস্থিতি পেরিয়েও দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণের কাছে বিএনপি সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। তবে দেশ বর্তমানে ইতিহাসের এক সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে। হাজারো শহীদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে গত ৫ আগস্ট দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে। তবে গণঅভুত্থানের সাফল্য নস্যাৎ করে দিতে স্বৈরাচারের দোসররা এখনো ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
নাজিমুর রহমান বলেন, দীর্ঘ দিনের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে মুক্ত নিঃশ্বাস নেয়ার পরিবেশ। ছাত্র জনতার দুর্বার আন্দোলনে দেশ আজ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে। সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের সাহস ও দৃঢ়তায় গণমানুষের প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তাই ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে অর্জিত বিজয়কে সংহত করে দেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। শান্তির সমাজ গড়তে বিএনপি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপি নেতা এস কে খোদা তোতন, হারুন জামান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, ইকবাল চৌধুরী, এস এম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইসকান্দার মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আবুল হাশেম, মো: কামরুল ইসলাম, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী বাবুল হক, মো: আজম, আবদুস সাত্তার সেলিম, হাজী হানিফ সওদাগর, আবদুল্লাহ আল হারুন, ডা: নুরুল আবছার, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, হাজী বাদশা মিয়া, জসিম উদ্দিন জিয়া, মাঈনুউদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, মনির আহম্মেদ চৌধুরী, আবদুল কাদের জসিম, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, গিয়াস উদ্দিন ভূইয়া, বিভাগীয় শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল্লাহ বাহার, মহানগর কৃষক দলের সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, জাসাসের আহ্বায়ক এম এ মুছা বাবলু, সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ শিপন, তাঁতি দলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক নুরুল হক, সদস্য সচিব এডভোকেট আব্দুল আজিজ প্রমূখ।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts sent to your email.