চট্টগ্রাম

পুলিশের বাধা ডিঙিয়ে আদালত চত্বরে শিক্ষার্থী ও আইনজীবীদের বিক্ষোভ

পুলিশের বাধা ডিঙিয়ে চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন কোটা বৈষম্যবিরোধী কয়েকহাজার শিক্ষার্থী ও আইনজীবীরা। হত্যা, গণগ্রেপ্তার, হামলা, মামলা ও গুমের প্রতিবাদে বুধবার (৩১ জুলাই) সারা দেশে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালনের অংশ হিসেবে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের সঙ্গে যোগ দেন আওয়ামী লীগ পন্থীরা ছাড়া অন্যান্য সমমনা সংগঠনের আইনজীবীরা।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে অন্তত দুই হাজার শিক্ষার্থী প্রথমে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে জড়ো হন। বেলা ১১টার দিকে আইনজীবীদের একাংশের সহায়তায় পুলিশি বাধা অতিক্রম করে আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেন তারা। শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দুপুর ১২টার দিকে আওয়ামীপন্থী আইনজীবী এবং বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা মুখোমুখি অবস্থান নেন। এনেক্স-২ ভবনের সামনে অবস্থান করেন আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা। দোয়েল ভবনের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেন বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরপন্থী আইনজীবীরা। 

Image

অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেখানে উপস্থিত হন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল এবং জেলা আদালতের পিপি ও মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী। এই দুই আইনজীবী নেতার হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত কোনো প্রকার মারামারি বা সংঘর্ষ ছাড়াই কর্মসূচি শেষ করে ফিরে যান শিক্ষার্থীরা।  

এর আগে সকাল থেকে আদালত ভবনে উঠার দুটি রাস্তার মুখে বিপুলসংখ্যক পুলিশ, বিজিবি মোতায়েন থাকে। এ সময় আদালতে আসা অসংখ্য বিচারপ্রার্থীকে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। এ সময় চরম বিপাকে পড়েন বিপুল সংখ্যক বিচারপ্রার্থী। ঢুকতে না দেওয়ায় অনেক বিচারপ্রার্থীকে পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কি করতেও দেখা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকসংলগ্ন আদালতে ভবনে উঠার রাস্তার মুখে দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্য এই প্রতিবেদককে জানান, সকাল ১১টার দিকে অন্তত দুই হাজার ছাত্র আদালত চত্বরে ঢুকে পড়ে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ-বিজিপি সতর্ক অবস্হানে ছিলেন।

Author

মোহাম্মদ ইসমাইল (ইমন), স্টাফ রিপোর্টার

পেশায় একজন সাংবাদিক। তিনি ৩০ মে থেকে মিশন ৯০ নিউজে চট্টগ্রাম বিভাগীয় এলাকায় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে, সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।

সম্পর্কিত সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker