কসবায় ঈদে মিলাদুন্নবী কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাধীন কসবায় ঈদে মিলাদুন্নাবী উদযাপনকারী ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।
আজ ১৬/৯/২৪ ইং রোজ সোমবার দুপুরে কসবা পৌরসভার কদমতলী এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় দুই দলের সমর্থক ও গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে এক পর্যায়ে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় কদমতলী এলাকা। উক্ত সংঘর্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। পরে সেনাবাহীনি ও পুলিশ এসে প্রায় দুই-তিন ঘণ্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। বর্তমানে সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কদমতলী এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহীনি মোতায়েন রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিয়ার মুক্তার।
এ ব্যাপারে হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম প্রচার সম্পাদক ইয়াকুব উসমানী জানান, পৌরসভার সুপার মার্কেট চত্ত্বরে তাদের পক্ষ থেকে সীরাতুন্নবী (সা:) উপলক্ষে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হলে তাদের লোকজন একত্রিত হওয়ার জন্য কদমতলী কোরআন ভাস্কর্যের সামনে সমবেত হতে থাকে। সকাল ১০ টার দিকে টি-আলী বাড়ীর মোড় থেকে পুরকুইল দরবারের পীর ছদর উদ্দিন এর সমর্থকরা এসে তাদের উপর হামলা করে, কোরআনের ভাস্কর্য ও আড়াইবাড়ী মাদরাসায় আক্রমন করে। পরে তাদের সাথে আমাদের সমর্থকদেরও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এসময় আড়াইবাড়ী মাদরাসায় আক্রমন করায় গ্রামবাসীও ক্ষীপ্ত হয়ে তাদের উপর চড়াও হয়।
এ বিষয়ে ঈদে মিলাদুন্নবী সমর্থক পুরকুইল দরবারের পীর ছদর উদ্দিন বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাতেই পারিনি। এর আগেই হেফাজত সমর্থিত লোকজন নিজেরাই কোরআনের ভাস্কর্য ও আড়াইবাড়ী মাদরাসায় আক্রমন করে আমাদেরকে দোষারোপ করে গ্রামবাসীকে ক্ষেপিয়ে দিয়েছে। আমাদের জশনে জুলুশ বানচাল করার জন্য আমার সাথে যাওয়া লোকজনের উপর হামলা করেন। এসময় আমার বহু লোকজন আহত হয়েছে।
এ ব্যাপারে আড়াইবাড়ী দরবারের পীর গোলাম খাবির সাঈদি বলেন, হেফাজত নেতাদের সাথে জশনে জুলুশ নিয়ে সুন্নী সম্প্রদায়ের লোকজনের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। জশনে জুলশকারীরা আমাদের মাদরাসায় ও কদমতলী মোড়ে কোরআনের ভাস্কর্য ভাংচুর করে বলেও তিনি দাবী করেন। এসময় মাদরাসায় হামলা করায় গ্রামবাসীরাও তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহরিয়ার মুক্তার বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রাখা হয়েছে।