পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি আশুগঞ্জ-আখাউড়া চারলেন প্রকল্প, ভোগান্তিতে জনজীবন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া পর্যন্ত ৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকার চারলেন মহাসড়ক প্রকল্পের কাজ পাঁচ বছরেও (২০২০-২০২৪) মাত্র ৫৭ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। ২০২০ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের নির্ধারিত মেয়াদ ২০২৪ সালের ৩০ জুন শেষ হলেও, কাজ অসম্পূর্ণ থাকায় আরও দুই বছর সময় বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন অংশের যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহন চালকরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরও আলোর মুখ দেখেনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া পর্যন্ত চারলেন মহাসড়ক প্রকল্প। ২০২০ সালে শুরু হওয়া ৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ পাঁচ বছরে অগ্রসর হয়েছে মাত্র ৫৭ শতাংশ। নির্ধারিত সময় ২০২৪ সালের ৩০ জুন হলেও, সময়মতো কাজ শেষ না হওয়ায় নতুন করে আরও দুই বছর মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে।
এই প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-সিলেট এবং কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের অন্তর্ভুক্ত অংশ—বিশ্বরোড গোলচত্বর, আশুগঞ্জ, বিরাসার, ঘাটুরা, তন্তর, রাধিকা ও উজানিসার—দ্রুতগতির যানবাহনের জন্য উন্নয়ন করার কথা ছিল। কিন্তু প্রকল্পের কাজ দীর্ঘায়িত হওয়ায় এসব এলাকার সড়কে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ ও ধুলাবালি। ফলে পণ্য ও যাত্রীবাহী যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে এবং প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। বৃষ্টির দিনে দুর্ভোগ আরও চরমে পৌঁছে, কারণ পানি জমে চলাচল হয়ে পড়ে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের সঙ্গে ৫০.৫৮ কিলোমিটার দীর্ঘ মহাসড়ক উন্নয়নের জন্য ৩টি প্যাকেজে চুক্তি হয়। কিন্তু প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এর মধ্যে একটি প্যাকেজ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং বাকি দুটি এখনও সময়মতো শেষ করা যায়নি।
দ্রুত প্রকল্পের কাজ শেষ করে জনদুর্ভোগ লাঘবের আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, দীর্ঘ সময় ধরে সড়ক খোঁড়াখুঁড়ির ফলে ব্যবসা, যাতায়াত ও চিকিৎসাসহ নানা কাজে বিঘ্ন ঘটছে, যা এখন ক্রমেই অসহনীয় হয়ে উঠেছে।
আশুগঞ্জ-আখাউড়া মহাসড়ক চারলেন প্রকল্প এখন শুধুই একটি উন্নয়ন পরিকল্পনা নয়, এটি হয়ে উঠেছে এক বৃহৎ জনদুর্ভোগের নাম। সংশ্লিষ্টদের কার্যকর ও দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণই এখন একমাত্র প্রত্যাশা।