বরগুনা

আমতলীতে বিএনপির বহিস্কৃত নেতা ও তার ছেলের বিচার দাবীতে মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল

আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধার বড় ভাই আব্দুল হালিম মৃধাসহ ৬ জনকে কুপিয়ে গুরুতর জখমের ঘটনায় জড়িত আমতলী উপজেলা বিএনপির বহিস্কৃত আহবায়ক জালাল উদ্দিন ফকির ও তার ছেলে রাহাত ফকিরের বিচার দাবীতে মানববন্ধন করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে আমতলী-কুয়াকাটা মহাসড়কের ছুরিকাটা নামক স্থানে এলাকাবাসী এ মানববন্ধন করেছেন। মানববন্ধন শেষে সড়কে ঝাড়ু– মিছিল করা হয়। ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধনে সহাধীক মানুষ অংশ নেয়।

জানা গেছে, আমতলী সদর ইউনিয়নের চলাভাঙ্গা গ্রামে পাওয়ার গ্রীডের উপ-কেন্দ্রের শ্রমিক সরবরাহকে কেন্দ্র করে গত বুধবার বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওইদিন বিকেলে উপজেলা বিএনপির বহিস্কৃত আহবায়ক জালাল উদ্দিন ফকিরের ছেলে রাহাত ফকির শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধার বড় ভাই আবুল হালিম মৃধাসহ তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও লুটপাট করে।

এ সময় আব্দুল হালিম মৃধা কবির খাঁন, মিজানুর রহমান তালুকদার, আবুল কালাম আজাদ, মুছা মিয়া, মিলন ও ইউসুফ সরদারকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেছে। তারা বর্তমানে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার তুহিন মৃধা বাদী হয়ে আমতলী থানায় জালাল উদ্দিন ফকিরকে প্রধান ও তার ছেলে রাহাত ফকিরসহ ২৬ জনকে আসামী করে হত্যা চেষ্টা ও লুটপাটের অভিযোগ এনে আমতলী থানায় মামলা করেছেন।

এ ঘটনার বিচার পেয়ে এলাকাবাসী শনিবার বিকেলে আমতলী-কুয়াকাটা মহাসড়কের ছুটিকাটা নামক স্থানে মানববন্ধন করেছে। ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে সহাধীক মানুষ অংশ নেয়। এ মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন মো: ফোরকান মোল্লা। বক্তব্য রাখেন হাফসা, শিউলী বেগম, পাশা মোল্লা, আবু সালেহ, সোহাগ, হাসান ও খোকন খাঁন প্রমুখ। 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ৫ আগষ্ট ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগের পরে আমতলী উপজেলা বিএনপির বহিস্কৃত আহবায়ক জালাল উদ্দিন ফকির ও তার ছেলে রাহাত ফকিরসহ  শতাধিক নেতাকর্মী আমতলী উপজেলায় ব্যাপক তান্ডব চালায়। পৌরসভা অফিস ও বাড়ী-ঘর ভাংচুর, জমি দখল, দোকান লুট, ট্যাম্পু স্ট্যান্ড দখল, চাঁদাবাজি ও অগ্নি সংযোগসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডে জড়িয়ে পরেন। তাদের এ কর্মকান্ড উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা ও যুবদল সিনিয়ন সদস্য সামসুল হক চৌকিদার ও উপজেলা যুবদল যুগ্ম আহবায়ক মেহেদী হাসান রাকিব প্রতিবাদ করেন। এতে জালাল উদ্দিন ফকিরের অনৈতিক কর্মকান্ডে বাধাগ্রস্থ হয়। পরে সে ক্ষুব্ধ হয়ে তুহিন মৃধার বড় ভাই আব্দুল হালিম মৃধার উপরে তার ছেলে রাহাত ফকির ও তার বাহিনী হামলা চালায়। সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত জালাল উদ্দিন ফকির ও তার ছেলে রাহাতের বিচার দাবী করছি।  

আমতলী উপজেলা বিএনপি’র বহিস্কৃত আহবায়ক জালাল উদ্দিন ফকির বলেন, আমার ও আমার ছেলের বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা। আমার নামে মিথ্যা অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে।

Author

শ্রী মিথুন, বরগুনা জেলা প্রতিনিধি

পেশায় একজন সাংবাদিক। তিনি ১১ জুন থেকে মিশন ৯০ নিউজে বরগুনা জেলার সংবাদ দাতা হিসেবে, সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

এছাড়াও পরীক্ষা করুন
Close
Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker