আমতলীতে দোকান ভাঙচুর, হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ
বরগুনার আমতলীতে দোকান ভাঙচুর, মারধর ও লুটপাট করেন দুর্বৃত্তরা। বুধবার (২৮ আগস্ট) বেলা ১২ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের খুরিয়ার খেয়াঘাট বাজারের চলাভাঙ্গা স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নে খুরিয়ার খেয়াঘাট এলাকায় ১১টি দোকানে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম ও কয়েকটি দোকানের প্রায় ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা ও মালামাল লুটের অভিযোগ করেন স্থানীয় দোকানীরা। এ সময় দোকানীসহ ৫ জন আহত হন।
দোকানী হুমায়ুন কবির মিল্টন মৃধা বলেন, আমি পাওয়ার গ্রীড সাব স্টেশনে লোকজন নিয়ে কাজ করাই। সে সুবাধে আমতলী বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা ও শামসুল হক চৌকিদার তাদের লোকজন নিয়ে চাঁদা দাবি করে আমার কাছে! আমি চাঁদা না দেয়ায় আমার দোকানে এবং আমার ওপর হামলা চালায়। আমার দোকান ভাঙচুর করে ২ লক্ষের বেশি টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
মিলন মৃধা বলেন, আমার ভাইকে মারধর করা অবস্থায় তাকে বাচাতে গেলে আমাকেও তারা মারধর করে রক্তাক্ত করে।
স্থানীয় হাসিনা বেগম বলেন, দোকানপাট ভাঙচুর ও মারামারি দেখে তাদের ছাড়াতে গেলে আমিও আহত হই। আমারও হাতে জখম হয়। কাউকে চিনতে পারিনি। তবে, তারা ৩০-৩৫ টি মোটরসাইকেল নিয়ে আসছিলো।
নাম না প্রকাশ করতে ইচ্ছুক এমন কয়েকজন বলেন, আমতলী উপজেলার বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা ও শামসুল হক চৌকিদারসহ তাদের লোকজন নিয়ে এ হামলা চালায়।
আমতলী বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি একটা দলীয় প্রোগ্রামের জন্য যাওয়ার পথে ওখানে স্থানীয় লোকজনের সাথে চাঁদা দাবির বিষয়ে আমি তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য সন্ধ্যায় তাদের আসতেও বলি। আসার পথে বিপরীতে থাকা লোকজন অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়। তারমধ্য ৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমার ওপর আনা সকল অভিযোগ মিথ্যাও ভিত্তিহীন। আমি এর সুস্ঠ নিরপেক্ষ বিচার দাবি করি।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।