টাকার অভাবে চিকিৎসা হতে পারছে না বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে রাবার বুলেট বিদ্ধ সাতক্ষীরার ওমর ফারুক (২৪)। পেশায় রিক্সা চালক হওয়ায় বিনা চিকিৎসায় দিন পারকছে সে। আহত যুবক দেবহাটা উপজেলার কোঁড়া গ্রামের এবাদুল ইসলামের ছেলে।
আহত ওমর ফারুক জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা শহরে রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ১৫ দিন পূর্বে কাজের উদ্দেশ্যে শেষবারের মত ঢাকায় যায় সে। সেখানে রিক্সা চালানোর সময় শুরু হয় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন। ছাত্রদের এই আন্দোলনে যোগ দেন ওমর ফারুক। সেখানে থেকে ছাত্রদের সাথে বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনে অংশ নিয়ে শাহাবাগে অবস্থান করছিল তারা।
এমন সময় গত ৪ আগস্ট ছাত্রদের মিছিল দুপুর ১টার দিকে পিলখানার সামনে পৌঁছালে হেলমেট মাথায় সাদা পোষাকে একদল ছাত্রলীগ ও পুলিশ সদস্যরা ছাত্রদের দিকে রাবার বুলেট ও গুলি করতে থাকে। তাদের ছোড়া গুলিতে ওমর ফারুক সহ অনেকে আহত হন। এসময় ওমর ফারুকের কপালে, হাতে, পায়েসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রাবার বুলেট লাগে। ছাত্রজনতা আহতদেরকে ঢাকা ল্যাবএইড হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যায়। রুগির চাপ বেশি থাকায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আবারো আন্দোলনে নেমে পড়েন সে।
এদিকে, ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার বিজয় হওয়ার পর অসুস্থ শরীর নিয়ে ৭ আগস্ট বাড়িতে ফেরেন ওমর ফারুক। বাড়িতে এসে অসুস্থ বোধ করলে প্রথমে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও পরে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যায়।
ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষা শেষে জানা যায়, ওমর ফারুকের কপালে, হাতে ও শরীরের কয়েক জায়গার রাবার বুলেট বিদ্ধ অবস্থায় আছে। বর্তমান তাকে বাঁচাতে অপারেশন ও উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। কিন্তু ওমর ফারুকের পরিবার গরীব ও অসহায় হওয়ায় অর্থের অভাবে চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই অপারেশন ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিত্তবানদের সহযোগীতার আহবান জানিয়েছে সে।