আঃ বাতেন একজন কৃষক।সন্তান লালন পালনে
যতটুকু ভালবাসা, মায়া,মমতা,স্নেহ বা যত্ন যাই বলি না কেন!প্রয়োগ করে থাকেন,ততটুকুই শ্রম বা গরুত্ব দেন ফসলাদীর প্রতি।
কিশোর গন্জ জেলার হোসেনপুরে ১ নং জিনারী ইউনিয়নের অন্তর্গত চরকাটিহারী গ্রামেই তার পৈতৃক ভিটায় বসবাস।
একজন কৃষক পিতার স্নেহেই লালন করেন, পালিত পশু এবং ফসলাদী,যা থেকে নিজের পরিবার তথা রাষ্টীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে।
তাৎপর্যের মহা অনুকুলে থাকে জীবন ও জীবিকার।
গোটা পৃথিবীতে চাষকৃত ৮০টির বেশি ফসল মানুষকে খাদ্য, বস্ত্র, গৃহনির্মাণ সামগ্রী, ঔষধ, পানীয়, রাবার, রঞ্জক ও অন্যান্য সামগ্রী যোগায়। রপ্তানির জন্য উৎপন্ন ফসলকে সাধারণত অর্থকরী ফসল বলা হয়।
বেগুন একটি অর্থ করী ফসল,
ভাল ফলন পেতে হলে উপযুক্ত জাত নির্বাচন করা একান্ত প্রয়োজন। বাংলাদেশে বেগুনের বহু জাত রয়েছে। এক জাত থেকে অন্যজাতে গাছের প্রকৃতি, ফলের রং, আকার, আকৃতি প্রভৃতি বিষয়ে বেশ পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।
বাংলাদেশে প্রধানতঃ লম্বা ফল, গোলাকর ফল ও গোলাকার এই তিন ধরণের বেগুনের চাষ বেশী হয়ে থাকে। সব জাতকে মৌসুম ভিত্তিক দুই ভাবে ভাগ করা যেতে পারে, যেমন-শীতকালীন বেগুন ও বারমাসী বেগুন। শীতকালীন জাতের বেগুন রবি মৌসুমে চাষ করা হয় কারণ, এই জাতের বেগুন কেবলমাত্র রবি মৌসুমেই ফল দিতে পারে। আর বারমাসী বেগুন বছরের যে কোন সময় চাষ করা যেতে পারে।
বারমাসী বগুনেই চাষ করে আঃবাতেন(৪৫)
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যাপক হারে।ভুক্তভুগীর দাবী
পাচঁ কাটা জমি বেগুন চাষ করতে,তার খরচ হয়েছিল।
২৫০০০০টাকা(দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা)
একজন কৃষকের জন্য সত্যিই বড় ট্র্যাজেডী।
আমরা কথা বলি শ্রমজীবী সোনার মানুষ আঃ বাতেনের সাথে।ঃ-
“আমি যতন কম নিছিনা,ঔষধ ঠিকমতই তু দিছি।
আল্লায় জানে কেরে এরম হয়ছে।গাছ তু মাথা হমান কিন্তু বেগুন নাই।হগল গাছ ফুইলা গেছে।অতো বড় লস খাওনের পরে আর হসিল করতাম মন চায় না”
আমরা জানতে পারি, তিনি কোন কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নেননি কখনো।
আমরা কথা বলি- একজন কৃষি উপ-সহকারীর
সাথে,তিনি জানান- প্রতিটি কৃষকের এখন সচেতন হওয়া প্রয়োজন।যে কোন সমস্যায় স্ব-স্ব উপজেলায়
কৃষি অফিসের সাথে যোগাযোগ রাখা প্রয়োজন।তাহলে ফসলের ক্ষতি এড়ানো সম্ভব।