টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দীঘলকান্দি ইউনিয়নের মাইজবাড়ি গ্রামের অভিযুক্ত মো: আমিনুল ইসলাম ওরফে শাহীনের ক্ষমতার দাপটকে মাইজবাড়ী গ্রামসহ আশেপাশের গ্রামবাসী সবাই আতঙ্কে।
সাম্প্রতিক সময়ে জোরপূর্বক সেচ মেশিন দখলের অভিযোগ উঠেছে শাহীনের বিরুদ্ধে। জানা যায়, মাইজবাড়ি গ্রামের, মো: ওমর আলীর পুত্র মজনু তালুকদার প্রায় ১৪ বছর পূর্বে একটি সেচ মেশিন পরিচালনা করছে। সাময়িক সময়ে উক্ত সেচ মেশিনে অভিযুক্ত শাহীনের নজর পরলে বিভিন্ন কৌশলে মেশিনটি বন্ধ করার জন্য হুমকি প্রদান করে। তাতেও লাভ না হওয়ায়, সেচ আইনের কোন তোয়াক্কা না করেই, ঐ মেশিন থেকে মাত্র ৮ গজ দুরে শাহীনের ইচ্ছে মতো প্রভাব খাটিয়ে একটি সেচ মেশিন স্থাপন করায়, ক্ষতিগ্রস্থ হয় মজনু তালুকদার।
এতে মজনু তালুকদার দিশেহারা হয়ে ২০২০ সালের ২৯ ডিসেম্বর ঘাটাইল উপজেলার সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খানের পরামর্শের জন্য ছুটে যায়। তিনি ইউএনওকে অবগত করার জন্য নির্দেশ দেয়। মজনু ন্যয় বিচারের আশায় ছুটে যায় তৎকালীন ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার অঞ্জন কুমার সরকারের নিটক এবং লিখিত আকারে একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করে। তারপর ২০২১ সালের ৪ জানুয়ারী ইউএনও অভিযোগ পত্রটি আমলে নেয়।
ঐদিন থেকে আজ পর্যন্ত উক্ত ঘটনাটির কোন সুরাহা হয়নি। অভিযুক্ত শাহীনের ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায় না।
এলাকাবাসী জানায়, ১৯৯৩ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত সীমাহীন অভিযোগ রয়েছে শাহীনের বিরুদ্ধে। তার জলন্ত উদাহারণ- বাছেদ সরকার ইউ.পি সদস্য থাকাবস্থায় তার ষাড়-গরু কুপাইয়া মেরে ফেলে। বাছেদ বাদী হয়ে শাহীনের বিরুদ্ধে ঘাটাইল থানায় মামলা করে। যার নম্বর ৭/২৬ তারিখ ২৬ জুলাই ১৯৯৩। মামলা করার কারণে বাছেদ তালুকদার কালিহাতী তার অফিসে যাওয়ার সময় রাস্তায় কুপাইয়া মারাত্বক যখম করে এবং প্রাণ নাশের হুমকি প্রধান করে শাহীন। ঐ এলাকার মকবুল মিলিটারী প্রতিবাদ করে। এতে শাহীন ক্ষীপ্ত হয়ে মকবুল মিলিটারীকে পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দেয়। এ ব্যপারে ঘাটাইল থানায় গজনবী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। যার নম্বর ১৯, তারিখ ৩০ জুন ১৯৯৭। তার অপকর্মের মাত্রা দিনদিন বেড়েই যাচ্ছে।
মাইজবাড়ী গ্রামের এনামুল দশ বছর ধরে ডিস লাইনের ব্যবসা করিয়া আসিতেছে। হঠাৎ জোড় করে ঐই ব্যবসাটিও নিজ দখলে নেয় শাহীন। শাহীনের হাত থেকে রক্ষা পায়নি কেউ। ঐ এলাকার আব্দুর রশদি শাহীনের বিরুদ্ধে মন্তব্য করায় শাহীন ক্ষীপ্ত হয়ে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হাত পাঁ ভেঙ্গে দেয়। ভয়ে গ্রাম ছেড়ে ভূঞাপুর আশ্রয় নেয়। শেষ পর্যন্ত মামলা চালাতে পারে নাই।
ডা: জহরুলের কাছ থেকে ৬০,০০০/-(ষাট হাজার) টাকা এবং ভোলার কাছ থেকে ৫০,০০০/-(পঞ্চাশ হাজার) টাকা, আজাহরের নিকট হইতে ৯০,০০০/-(নব্বই হাজার) টাকা চাঁদা নেয়। থানায় অভিযোগ দিয়েও কোন লাভ হয় নাই। হীরা মেম্বার, শাহীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চাইলে তাকেও মেরে ফেলার হুমকি দেয়। হীরা মেম্বার জীবন রক্ষার জন্য আদালতে গিয়ে মামলা করে। পরে হীরা মেম্বারকে, শাহীন মেরে ফেলার হুমকি দিলে মামলা তুলে নিতে বাধ্য হয়।
জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট ঐ এলাকাবাসীর আকুল আবেদন, যেন সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে প্রসাশন ব্যবস্থা নেয়।
Subscribe
Login
0 Comments
Oldest