কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে গতকয়েকদিন হতে দেখা নেই বৃষ্টির। সারাদিনের প্রখর হাড় ফাটানো রোদ আর রাতের ভ্যাপসা গরমে নাকাল হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রতিদিনের বেড়ে চলা তাপমাত্রার সাথে উপজেলাবাসীর ভোগান্তির আগুনে ঘি ঢালছে লোডশেডিং। শ্রাবণের এমন অনাবৃষ্টি আর তাপদাহের প্রভাব পড়েছে উপজেলাবাসীর জীবন জীবিকায়।
বৃষ্টির অভাবে শুকিয়ে ফেটে চৌচির হচ্ছে ফসলি জমি। শুকিয়ে যাচ্ছে নদী নালা খাল বিলের পানি। এমন পরিস্থিতিতে আমন চারা রোপনের ভরা মৌসুমে কৃষকরা আশা করছেন বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্প চালু করে জমিতে সেচ দিয়ে চারা রোপন করবেন। কৃষকের সে আশার পাঁতেও ছাই। সেচ পাম্পও চলছে না লোডশেডিং এর কারণে। অগত্যা ঘুরেফিরে সেই অপেক্ষা বৃষ্টির। কৃষকরা ছাড়াও তাপদাহ আর বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে সব বয়সের ও শ্রেণী-পেশার মানুষকে ভোগান্তিতে পোহাতে হচ্ছে। ছোট ছোট শিশু ও বৃদ্ধদের নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পরিবারের লোকজন। গরম থেকে একটু স্বস্তি পেতে অনেকেই গাছের ছায়ায় মাটিতে মাদুর পেতে শুয়ে থাকেন। কেউবা ঘন ঘন ঠান্ডা পানিতে গোসল করেন। তাতে সাময়িক একটু স্বস্তি পেলেও সবাই তীর্থের কাকের মত আকাশ পানে চেয়ে আছেন কাঙ্খিত বৃষ্টির আশায়।
আর বিদ্যুতের এমন অবস্থার বিষয়ে কুড়িগ্রাম- লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ফুলবাড়ী জোনাল অফিসের ডিপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মোস্তফা কামাল জানান, যান্ত্রিক রক্ষণাবেক্ষণের কারণে মেইন গ্রীড হতে চাহিদার তুলনায় আমরা কম বিদ্যুৎ পাচ্ছি। প্রাপ্ত বিদ্যুতেই আমরা সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। রক্ষণাবেক্ষণ কাজ শেষ হলে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
তাপদাহের বিষয়ে কুড়িগ্রামের রাজার হাট উপজেলার কৃষি ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানিয়েছেন, বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। রাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে, বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কমবে।