গাজীপুরের কাশিমপুর মেটো থানার দক্ষিণপানি শাইল এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ নিখোঁজের তিন দিন পর আমিনুল ইসলাম (৬০) নামের এক বৃদ্ধের লাশ ও কালিয়াকৈরের মৌচাক মডেল সিটি এলাকা থেকে লব চন্দ্র সরকারের লাশ উদ্ধার করেছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১ নং ওয়ার্ডেও দক্ষিণ পানিশাইল এলাকার পদ্মা হাউজিং এ আমিনুল ইসলাম খন্দকার বাবুল(৬০) গত ১৩ জুলাই সকালে নিখোঁজ হন। তার আত্নীয় স্বজনরা অনেক জায়গায় খোজাখুজি করে না পেয়ে কাশিমপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এলাকাবাসী বৃহস্পতিবার বিকেলে তার ওই এলাকার নিমার্ণাধীন একটি বাড়ীর তৃতীয় তলার টয়লেটে মধ্যে দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ রাত সাড়ে আটটার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছেন। নিহত আমিনুল ইসলাম হলেন কুমিল্লাহ জেলার চৌদ্দগ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশের ধারনা, ওই ব্যক্তিকে দূর্বৃত্তরা তাকে হত্যার পর তারই নিমার্ণাধীন তৃতীয় তলার একটি টয়লেটে ফেলে রাখে। নিহতের লাশ পচে গিয়ে গন্ধ ছড়ায়।
কাশিমপুর মেট্রো থানার ওসি কাশিপুর মাহবুবে খোদা জানান, তাকে হত্যা করে টয়লেটে ফেলে রেখে গেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অপর দিকে কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকায় মৌচাক মডেল সিটি এলাকায় একটি টিনসেট ঘরে লব চন্দ্র সরকার (৪০) নামের এক ব্যক্তি লাশ উদ্ধার করেছেন মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ীর পুলিশ।
পুলিশের ধারণা, নিহত লব চন্দ্র সরকার রাতে অতিরিক্ত ঘাম খেয়ে নেশা করায় তার মৃত্যু হতে পারে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহত লব চন্দ্র সরকার হলেন, টাঙ্গাইল সদর জেলার নরেন্দ্র চন্দ্র সরকারের ছেলে। সে স্থানীয় একটি পোশাক ˆতরির কারখানায় চাকুনি করতেন।
তবে এলাকাবাসী জানান, কয়েকদিন আগে নিহতের সাথে অন্য আরেক ভাড়রাটিয়ার সাথে বাথ রুম পরিস্কার নিয়ে
ঝগড়া হয়। পরে লব চন্দ্র সরকারকে তভাড়াটিয়ারা কয়েকজন শারীরিক নিযার্তন কওে প্রাণ নাশের হুমকি দেন।
বৃহস্পতিবার সকালে ঘুম থেকে নিহত না উঠলে পাশের রুমের লোকজন ডাকা-ডাকি শুরুকরেন। এতে তার সারা না পেয়ে দরজা ধাক্কা দিয়ে লব চন্দ্র সরকারকে মৃত দেখতে পান।
মৌচাক পুলিশ ফাড়ীর ইনচার্জ এসআই সাইফুল আলম জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে । নিহতকে খুন করা হয়েছে না অতিরিক্ত নেশায় মারা গেছে ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই বুঝা যাবে।