রায়হান কবির নওগাঁঃ
আসন্ন কোরবানির ঈদে নওগাঁ জেলার বদলগাছীর সেরা আকর্ষণ ক্যাপ্টেন। সাদা-কালো রঙের মিশ্রণে ক্যাপ্টেন খুবই শান্ত। গরুটির ওজন ৪০ মণ। এর দাম হাঁকা হয়েছে ২০ লাখ টাকা।
শুধু তাই নয়, ক্যাপ্টেনের সঙ্গে ফ্রি থাকছে পাঁচ মণের আরো একটি গরু। ক্যাপ্টেনের মালিকের নাম মাসুদ রানা। তিনি বদলগাছী উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের জগদিশপুর গ্রামের বাসিন্দা। তবে তিনি গবাদি পশু-পাখির খাবার বিক্রেতা।
মাসুদ জানান, ২২ মাস আগে জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি হাট থেকে ৮৭ হাজার টাকায় ফ্রিজিয়ান জাতের বাছুরটি কেনেন তিনি। ইচ্ছা ছিল এক বছর লালন-পালন করে কোরবানির হাটে বিক্রি করবেন।
গতবার ঢাকা থেকে এক শিল্পপতি এসে সাড়ে নয় লাখ টাকা দাম করেছিলেন। কিন্তু বয়স না হওয়ায় গরুটি আর কেনেননি। ঠিকমতো লালন-পালন করে এ বছর দাম হাঁকিয়েছেন ২০ লাখ টাকা।
মাসুদ রানা জানান, কেনার পর থেকেই সন্তানের মতো করে ক্যাপ্টেনকে লালন-পালন করেছেন। প্রতিদিন অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি আপেল, কমলা ও মাল্টা খেতে দেন।
নিয়মিত খাবারের মধ্যে রয়েছে সুজি, ভুসি ও খুদের ভাত। বর্তমানে প্রতিদিন তিন কেজি আপেল, কমলা ও মাল্টা খায় ক্যাপ্টেন। প্রতি মাসে সাড়ে তিন মণ সুজি, সাড়ে তিন মণ ভুসি ও তিন মণ খুদ খেতে দেয়া হয়। কেনার পর থেকে এখন পর্যন্ত ক্যাপ্টেনের পেছনে পাঁচ-সাত লাখ টাকা খরচ হয়েছে মাসুদের।
এ গরমে প্রতিদিন দেড় ঘণ্টা করে তিনবার গোসল করাতে হয়। ক্যাপ্টেন গরম সহ্য করতে পারে না, তাই বিদ্যুৎ চলে গেলে আইপিএস দিয়ে ফ্যান চালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
৪০ মণ ওজনের ক্যাপ্টেনকে গোয়ালঘরের দরজা দিয়ে বের করা যায় না। দরজা কেটে বের করতে হবে। ক্যাপ্টেনের মালিক মাসুদ বলেন, মন মতো দাম পেলে বাড়ি থেকেই বিক্রি করব। আর ভালো দাম না পেলে ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করা হবে। ২০ লাখ টাকায় বিক্রি করার ইচ্ছা আছে।
মাসুদের স্ত্রী রাবেয়া বেগম বলেন, আমার স্বামী অনেক সৌখিন। নিজের সন্তানের মতো গরুটি লালন-পালন করেছেন। গরুটি আমাদের কাছে খুবই আপন। ক্যাপ্টেনকে বিক্রি করলে খুব কষ্ট লাগবে।সে এখন আমাদের পরিবারের একজন হয়ে উঠেছে।