নিজস্ব প্রতিবেদক:
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার পারখী ইউনিয়নের মৌজায় অবস্থিত কুড়িল (কুমড়ি) বিলে বাংলা ড্রেজার বন্ধের জন্য জেলা প্রশাসকে হস্তক্ষেপ কামনা করেও লাভ হল না এলাকাবাসীর। এমনকি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরেও বন্ধ হয়নি।
জানা যায় বিয়াইল মৌজার কুড়িল বিলের সরকারি খাস খতিয়ানের ভূমিতে কতিপয় দুষ্কৃতিকারী বালু উত্তোলনে করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বীরবাসিন্দা ইউনিয়নের কস্তুরী পাড়া বসবাসকারী ঘাটাইল উপজেলার আশারিয়াচালার গ্রামের সিদ্দিক হোসেনের ছেলে মোঃ আব্দুল লতিফ, ছোট ভাই মোঃ মতিন, বেঙ্গলা গ্রামের মৃত জাফর আলীর ছেলে, বীরবাসিন্দা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, মোঃ শাহজাহান ও বুজরুত আলীর ছেলে বীরবাসিন্দা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোঃ জামাল, তিনি ওই পারখী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলীর আপন বোনের ছেলে বলে, এলাকায় সাধারণ মানুষ তাদের ক্ষমতাকে ব্যাপক ভয় পায়।
এদের সহযোগিতা করেছেন ভিয়াইল গ্রামের, মৃত কাজিম উদ্দিন এর ছেলে, আব্দুস সাত্তার, নূর মোহাম্মদের ছেলে মজনু মিয়া ও নজরুল ইসলাম।
ড্রেজার বসিয়ে দিন রাত বালু উত্তোলনে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে বালু ব্যবসায়ীরা। অবৈধভাবে বাংলার ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে আশপাশের ব্যক্তি মালিকানাধীন আবাদি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। স্থানীয় পর্যায়ে তারা অত্যন্ত দুর্ধর্ষ দাঙ্গা-হাঙ্গামাকারী হিসেবে পরিচিত। স্থানীয়রা বাঁধা দিতে গেলে উল্লেখিত ব্যক্তিরা নানা ধরনের হুমকি দিয়ে থাকে এজন্য এলাকার জমির মালিকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তাদের ভয়ে ভীত হয়ে স্থানীয়রা প্রায় অর্ধশত ব্যক্তি এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসকের কাছে গত ৭ জুন সোমবার লিখিত আবেদন করেছেন এ বিষয়ে বালুু ব্যবসায়ী জামালের নিকট জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলে, চেয়ারম্যান লিয়াকত আমার মামা কালিহাতী উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই ব্যবসা পরিচালনা করি।
কালিহাতী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) কামরুল হাসান জানান, ওই বিলে ইতিপূর্বে একাধিকবার বাংলা ড্রেজারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে দাখিলকৃত অভিযোগ হাতে পেলে তিনি দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন ।