বাণিজ্য

পাকিস্তান থেকে এলো ১১৬ টন পেঁয়াজ, কমতে শুরু করেছে দাম

ভারতের বিকল্প হিসেবে পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ এনেছেন দেশের ব্যবসায়ীরা। ১১৬ টন পেঁঁয়াজ নিয়ে কনটেইনারগুলো চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে গতকাল মঙ্গলবার। জাহাজ থেকে নামিয়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কনটেইনারে থাকা পেঁয়াজগুলো গতকাল সন্ধ্যায় বন্দর থেকে ছাড় নেওয়া হয়েছে।  আজ বুধবার সেগুলো চট্টগ্রাম ও ঢাকার আড়তে পৌঁছবে।

রপ্তানিমূল্য এবং শুল্কহার বাড়িয়ে দেওয়ায় গত ২০ আগস্ট ভারত থেকে আসা পেঁয়াজ নিয়ে দেশের বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়। তখন পাইকারিতেই দাম কেজি ৬২ টাকায় পৌঁছে। দাম আরো বাড়বে এই শঙ্কায় বিকল্প ১০ দেশ থেকে ৩৪ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। সেই অনুমতির প্রায় ২০ দিন পরই প্রথম দেশ হিসেবে পাকিস্তান থেকেই এলো পেঁয়াজ।

অন্য দেশ থেকে ধারাবাহিকভাবে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আসবে বাকি পেঁয়াজ। 

মূলত ১০ বিকল্প দেশের তুলনায় পাকিস্তানের পেঁয়াজের দাম কম থাকা এবং সহজে আসার সুযোগ থাকায় সেগুলো ভারতের সঙ্গে প্রতিযোগিতা দিতে পারবে। এর ফলে দেশের বাজারে দাম আরো কমে যাবে। এরই মধ্যে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বেড়েছে, সে হিসেবে দামও কমেছে।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম উদ্ভিদ সংগনিরোধ দপ্তরের উপপরিচালক নাছির উদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দুটি চালানে ঢাকার আমদানিকারক সাদ এন্টারপ্রাইজ ১১৬ টন পেঁয়াজ এনেছে পাকিস্তান থেকে। এই বছর পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঘটনা প্রথম। পণ্যের নমুনা জমা দিয়েছেন আমদানিকারকের নিয়োজিত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট। নমুনা পরীক্ষণে উদ্ভিদের জন্য ক্ষতিকর কোনো রোগ-বালাই না থাকায় আমরা ছাড়পত্র সনদ দিয়েছি। মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যেই সেগুলো বন্দর থেকে দ্রুতই ছাড় পাবে।

উদ্ভিদ সংগনিরোধ দপ্তরের হিসাবে, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে গতকাল পর্যন্ত ১৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭০৮ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর বিপরীতে পেঁয়াজ এসেছে চার লাখ ৪৩ হাজার ৬১৩ টন। শুধু ২৩ আগস্ট থেকে গতকাল ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারত থেকেই পেঁয়াজ এসেছে ৪৬ হাজার টনের বেশি।

ভারতের বদলে বিকল্প ১০ দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নেওয়া হয়েছে ৩১ হাজার টন। এসব দেশের মধ্যে আছে নেদারল্যান্ডস, আরব আমিরাত, তুরস্ক, কাতার, মিসর, পাকিস্তান ও আমেরিকা অন্যতম।

এদিকে বিকল্প দেশের পেঁয়াজ আসার আগেই বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে। রপ্তানি মূল্য বাড়ানোর পর পাইকারিতে যে পেঁয়াজ ৬২ টাকায় বিক্রি হয়েছিল, গতকাল সেই পেঁয়াজই বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৫২ টাকায়। ভারত শুল্ক কমায়নি, রপ্তানি মূল্যও কমায়নি। এর পরও দাম কমার প্রধান কারণ হচ্ছে বাড়তি দামে পেঁয়াজের ক্রেতা কমে যাওয়া এবং সরবরাহ আগের তুলনায় বেড়ে যাওয়া। এই অবস্থায় বিকল্প দেশের পেঁয়াজ আসার খবরে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম আরো কমে যাবে।

Author

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এছাড়াও পরীক্ষা করুন
Close
Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker