ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা মো. রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের নামে থাকা শেয়ারের ৫০ শতাংশ রাসেলের পরিবারের তিন সদস্যের নামে স্থানান্তরের অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্ট। রাসেল ও শামীমার আত্মীয়-স্বজনের মৌখিক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
যাদের নামে ইভ্যালির ৫০ শতাংশ শেয়ার স্থানান্তর হবেন তারা হলেন- রাসেলের শ্বশুর রফিকুল আলম তালুকদার, শাশুড়ি ফরিদা তালুকদার ও বায়রা ভাই মামুনুর রশিদ। একই সঙ্গে ইভ্যালির পরিচালনা বোর্ডকে সব ধরনের সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালতে ইভ্যালির বোর্ডের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মোরশেদ আহমেদ খান। রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন।
রাসেলের আইনজীবী মোরশেদ আহমেদ খান জানান, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের (ইভ্যালির চেয়ারম্যান) শেয়ার কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন রাসেলের শ্বশুর, শাশুড়ি ও পরিবারের সদস্যরা। বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চে হাজির হয়ে বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) তারা মৌখিকভাবে এই ইচ্ছার কথা বলেন। আদালত তাদের পরিকল্পনা ও অভিপ্রায় হলফনামা আকারে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দাখিল করতে বলেছেন এবং তারা মঙ্গলবার দাখিল করলে আদালত এই অনুমতি দিয়েছেন। এই আদেশের ফলে ইভ্যালি পুনরায় চালু হওয়ার পথ সুগম হচ্ছে। ইভ্যালির গ্রাহকরা সুখবর পেতে যাচ্ছেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রসঙ্গত, ভুক্তভোগী এক গ্রাহকের মামলায় গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদপুরের বাসায় অভিযান পরিচালনা করে স্ত্রীসহ রাসেলকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে বিভিন্ন মামলায় তাদের কয়েক দফা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বর্তমানে ই-ভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন কারাগারে রয়েছেন। বর্তমানে ইভ্যালির ওয়েবসাইট ও অ্যাপস বন্ধ রয়েছে। ফেসবুক পাতাতেও গত বছরের ১৮ অক্টোবরের পর নতুন কোনো আপডেট আসেনি।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts sent to your email.