কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার খোলা মাঠে দিগন্তজুড়ে দুলছে কৃষকের রক্তপানি করা ক্লান্তিমাখা জীবনের স্বপ্ন, সবুজে ঘেরা সোনালি ধানের শীষ। প্রতিটি ধান খেতে ধানের শীষ উঁকি দিচ্ছে।
ইতিমধ্যে ধানের সবুজ চারা এবং কাঁচা শীষ হলুদ বর্ণ ধারণ করতে শুরু করেছে । এরপর সোনালী ধানের শীষে ঝলমল করবে মাঠের পর মাঠ। রাশি রাশি সোনালী ধানে ভরে উঠবে কৃষাণ-কৃষাণীর শূন্য গোলা। আর তাইতো এই রুপা আমন ধানকে ঘিরেই স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা।
আর কয়েকদিন পরেই ঘরে উঠবে পাকা ধান। এখন ধুধু চোখে নজর কাড়ছে আমন ধানের ক্ষেত। মাঠের চারিদিকে সবুজের ভিরে সোনালি রংয়ের সমারোহ।
গত বছরের চেয়ে এ বছর আমন ধানে কৃষকের কাঙ্খিত স্বপ্নের এ ক্ষেতে আশাতীত ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও বিভিন্ন প্রকার দুর্যোগ পোকা মাকড়ের উপদ্রপে একাধিকবার দিতে হয়েছে কীটনাশক, বেড়ে গেছে উৎপাদনের খরচ।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) সরেজমিনে, উপজেলার পৌরসভা ও ছয়টি ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়, সোনালী ধানের শীষে সকালে কুয়াশার টগবগে বিচরণ দুপুরে সূর্যের সোনালি রোদ যেন খেলায় মেতেছে। কৃষাণ-কৃষাণিদের মনে বইছে আনন্দ আর মুখভরা হাসি।
সিদলা ইউনিয়নের কৃষক খলিল মিয়া বলেন, গত বছরের তুলনায় এবারে ধান ক্ষেতে পোকা-মাকড়ের উপদ্রপ বেশি ছিল। এতে কীটনাশক দিতে হয়েছে চারবার।
তারপরও আশানুরূপ ফলন ঘরে তোলা সম্ভব বলেও জানান তিনি। গোবিন্দপুর ইউনিয়নের জগদল এলাকার কৃষক সামিম জানান,এবার গত বছরের চেয়ে বিঘায় দুই হাজার টাকা বেশি খরচ হবে।তবে ধানের বাজার চড়া থাকায় লাভবান হবার স্বপ্ন দেখছেন কৃষক।
স্থানীয় কৃষি অফিসের তথ্যমতে,এবছর হোসেনপুরে ৮হাজার, চার শত ৭৬ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে।